সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫
৩ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : বিশেষ প্রতিবেদন

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মিমি আলাউদ্দিন

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মিমি আলাউদ্দিন


সরগম রিপোর্ট
2024-12-30
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মিমি আলাউদ্দিন
মিমি আলাউদ্দিন

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মিমি আলাউদ্দিন
দেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম হলেন মিমি আলাউদ্দিন। কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রয়াত আলাউদ্দিন আলীর সহধর্মিণী এ সংগীতশিল্পী। ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে নজরুল ও আধুনিক গানের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করছেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন সুরকারের প্লে-ব্যাক করেছেন মিমি আলাউদ্দিন। সুরকার আলম খান, আলী হোসেন, শেখ সাদী খাঁন ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি। ছবিগুলো হচ্ছে, ‘মা বড় না বৌ বড়’, ‘আমাদের ছোট সাহেব’, ‘যদি বউ সাজগো’, ‘এক টাকার বউ’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝড়ে’, ‘গোলাপী এখন বিয়েতে’ ইত্যাদি। ১৯৮৪ সালের ২ জানুয়ারি জামালপুর জেলায় এক বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ সংগীতশিল্পী। তার বাবার নাম এ এন ফয়েজ আহমেদ ও মায়ের নাম লায়লা আক্তার জাহান। শিল্পীর জন্মনাম ফারজানা কোম হলেও সংগীতাঙ্গলে মিমি আলাউদ্দিন হিসেবেই পরিচিত তিনি। মিমি আলাউদ্দিন ..... উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি ও এ কে এম মেমোরিয়াল কলেজ থেকে বিকম পাশ করেন। ১৯৯৭ সালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জামালপুর হতে নজরুল ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে কোর্স (৬ বছর) সম্পন্ন করেন। শিল্পীর গান শেখার হাতেখড়ি বড় বোন ফারহানা বেগমের কাছে। এছাড়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জামালপুর; উস্তাদ আবু যায়েদ লতা, রুমী আজনবী, কানু সুশান্ত, শহীদ, শেখ মোহম্মদ লিয়াকত, আলাউদ্দীন আহমেদ, ড. হারুনুর রশীদ ও সর্বশেষ ওস্তাদ কিংবদন্তী সুরকার ও সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলীর কাছে তালিম নিয়েছেন সংগীতশিল্পী মিমি আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গানে আমার সর্বপ্রথম প্রেরণার উৎস হচ্ছেন আমার জন্মদাতা পিতা। তার মতো শ্রম, চেষ্টা, প্রেরণা, উৎসাহ, উদ্দীপনা, দেবার মতো পিতা এই পৃথিবীতে বিরল। উনার জন্যই আজ আমি এখানে। আমার বাবা গান করতেন, তবে পেশাদার সংতীতশিল্পী ছিলেন না। এখনও আমার বড় বোন শখের বসে মাঝে মাঝে গান করেন। এছাড়া পরিবারের সবাই সংস্কৃতি মনা।’ মিমি আলাউদ্দিন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সুগার মিল বাজার সংলগ্ন স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠানে প্রথম মঞ্চ পরিবেশনা করেন। তখন বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। মিমি আলাউদ্দিনের একক অ্যালবামের শিরোনাম হচ্ছে ‘শান্তির সুর ও বাণী’ (নজরুলের ইসলামিক গান)। এটি প্রযোজনা করে একতারা মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন ও সংগীতায়োজনে ছিলেন আলাউদ্দিন আলী। এছাড়া যৌথ অ্যালবাম হচ্ছে ‘হৃদয়ের গান’, এর সংগীতায়োজনে ছিলেন আলাউদ্দিন আলী। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় অ্যালবামটি। শিল্পীর প্রথম গান হচ্ছে, ‘ঘুম ভাঙলে শুনি আমি দোয়েল, শেমার গান’ (ছড়া গান)।
মিমি আলাউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটন শহরে গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আমি অংশগ্রহন করি। ফোবানার এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং হোস্ট কমিটি যৌথভাবে আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। তিন দিন ব্যাপী এই মহা সম্মেলনে দুই দিনই অতিথি শিল্পী হিসেবে আমাকে গান পরিবেশন করতে হয়।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা প্রয়াত আলাউদ্দিন আলীর সুর করা জনপ্রিয় বেশকিছু গান শুনিয়ে দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করি। এই প্রথমবারের মতো উত্তর আমেরিকায় অভিবাসী বাঙালীদের বাৎসরিক মিলনমেলায় অংশ নিতে পেরে আমি ধন্য এবং অভিভূত হয়েছি। আয়োজকদের আতিথেয়তা এবং আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। ফোবানা সম্মেলন শেষ করে আমি ভার্জিনিয়াতেই কিছু প্রাইভেট এবং ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেই। ২৫ বছর পরে আমার এক বান্ধবী এবং এক বড় বোনের সাথে দেখা হয়। ওখানেই কিছু নতুন বন্ধু হয় এবং তাদের সাথেই দীর্ঘ সময় কাটাই। পরে আরো কিছু বন্ধু এবং স্থানীয় আয়োজকদের আমন্ত্রণে কিছু অনুষ্ঠান করি। সেখানে জনপ্রিয় বাংলা এবং হিন্দি গানও পরিবেশ করি। বলা যায় পুরো সেপ্টেম্বর মাসটি ভার্জিনিয়াতে অসাধারণ কিছু স্মৃতিময় সময় কাটিয়ে চলে যাই হিউস্টনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর হিউস্টন। হিউস্টনের দুইটি বাঙালী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে ৪ অক্টোবর স্থানীয় মহারাজা রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয় আমার একক সংগীত সন্ধ্যা। দর্শকদের মুহুর্মুহ করতালি এবং অনুরোধে আমাকে প্রায় ২৫টি গান পরিবেশন করতে হয়। অনুষ্ঠান শেষে যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ থিয়েটার হিউস্টন এবং ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি হিউস্টন-এর পক্ষ থেকে আমার অসামান্য পরিবেশনার জন্য বেস্ট পারফর্ম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট অফ এক্সেলেন্স দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। পরে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আরেকটি বৃহৎ শহর বৈচিত্রময় ডালাসে যাই। ১৯ অক্টোবর ডালাসের জনপ্রিয় রেডিও রূপসী বাংলা আয়োজিত ‘আনন্দ উৎসব’ অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে অংশ গ্রহন করি।
বন্যার্তদের সাহায্যার্থে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে আমি ছাড়াও অংশ নেন হালের ক্রেজ মুজা, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের অপসরা সহ আরো অনেকে। ডালাসের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালক এবং উপস্থাপক আরজে রাহী ইয়াহিয়ার অনবদ্য উপস্থাপনা এবং মূল আয়োজক নুর ইয়াহিয়ার পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট, ট্যালেন্ট হান্ট সহ স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা ছিল উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের কিংবদন্তি সুরকার, সংগীত পরিচালক, সুরস্রষ্টা প্রয়াত আলাউদ্দিন আলীকে সংগীতে তার অবদানের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মাননা দেয়া হয়। তার সুযোগ্য সহধর্মিনী হিসেবে আমার হাতে ক্রেস্ট এবং সম্মানী তুলে দেয়া হয়। এটি ছিল আমার জন্য একটি বিশেষ স্মরণীয় মুহূর্ত। এরপর স্থানীয় আয়োজকদের অনুরোধক্রমে ডালাসে আরো দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নেই। ২৫ অক্টোবর ডালাসে বাঙালী মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইন্দোপাক ওয়ার্ল্ড মার্কেট আয়োজন করে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সুরকার আলাউদ্দিন আলীকে স্মরণ করে। এই আয়োজনে দর্শকদের মুহুর্মুহ করতালি আর অনুরোধে আলাউদ্দিন আলী সাহেবের অনবদ্য সৃষ্ট জনপ্রিয় সব গানগুলি পরিবেশন করি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পূর্বে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমাকে বেস্ট পারফর্ম্যান্স অ্যাওয়ার্ড এবং সার্টিফিকেট অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রদান করা হয়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর ডালাসে বসবাস কারী চট্টগ্রাম নিবাসীদের সর্ববৃহৎ আয়োজন ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে কয়েকটি গান পরিবেশন করি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক এবং জনপ্রিয় আরো কিছু গান। প্রায় দুই হাজার চট্টলাবাসীর উপস্থিতিতে দেশীয় আমেজে এক স্মরণীয় আয়োজনে অংশ নিয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি। এভাবেই ডালাসে পরপর কয়েকটি অনুষ্ঠান শেষ করে চলে যাই, পরবর্তী গন্তব্য-সান অ্যান্টোনিও। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে পরের দিন ২৭ অক্টোবর ছুটে যাই টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শহর সান অ্যান্টোনিও-তে। সেখানেও বিশেষ অতিথি শিল্পী হিসেবে প্রায় দেড়শো মানুষের উপস্থিতিতে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করি। সবার উচ্ছ্বসিত প্রসংসায় আপ্লুত হয়েছি। আয়োজক দম্পতির প্রাণঢালা আন্তরিকতা আর ভালোবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। মাত্র দু’দিনের জন্য গিয়ে গুণে গুণে আটদিন চোখের নিমিষেই যেন চলে গেছে। ফোবানা সম্মেলনের পরে যেই অনুষ্ঠানটির জন্য আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছি আর তা হলো, ছষ্ঠ এশিয়ান ফুড অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডা। ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট এবং ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডো রিসোর্টের মতো বিশ্ব-বিখ্যাত আকর্ষণের সাথে নভেম্বর ২৩ ২বং ২৪, দুইদিন ব্যাপী এই আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ইন্ডিয়ান আইডল বিজয়ী জনপ্রিয় শিল্পী সালমান আলী। ফ্লোরিডা রাজ্যের বাঙালিদের সর্ববৃহৎ এই আয়োজনে আমাকে কয়েকহাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে পরপর দুইদিনই গান পরিবেশন করতে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। সালমান আলীর সঙ্গে কিছু কাজের কথাও হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের এক সাথে একটি অ্যালবাম করার পরিকল্পনা আছে। আমার সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল নিউ জার্সিতে। নভেম্বরের ৩০ তারিখে ছোট পরিসরের এই আয়োজনে আমাকে ২৮টি গান পরিবেশন করতে হয়েছে উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধে। প্রতিটি গানের সঙ্গে দর্শকদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে আপ্লুত হয়েছি। অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ফিরে যাই নিউ ইয়র্ক এবং অতঃপর প্রাণের বাংলাদেশ। এবারের ইউএসএ পরিভ্রমণের যে বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে আবেগাপ্লুত করছে তা হলো কিছু অসাধারণ ভালো মনের মানুষের সাথে পরিচয়। যেখানেই গিয়েছি, এই মানুষগুলো তাদের হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আমার জন্য সময় বের করে দুর্দান্ত আতিথিয়েতার চূড়ান্ত করেছেন। তাদের উষ্ণতা, উদারতা আর ভালোবাসা আমার বেড়ানোকে করেছে অবিস্মরণীয়। মাত্র একদিন দুদিনের জন্য গিয়ে সপ্তাহ, দু’সপ্তাহ চলে গেছে চোখের নিমিষেই। তারপরেও কবির ভাষায় বলতে হয়-যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়। এই অমোঘ সত্যের কাছে হার মেনে বিদায় জানাতে হয়। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। বুকের ভেতরে জমে থাকা মেঘগুলো হঠাৎই কান্না হয়ে অঝোরে ঝরতে থাকে। দূরের এই মানুষগুলোর হৃদয়ে এত মায়া, এত ভালোবাসা, কী করে পুষে রাখে ভেবে আকুল হই। এই ভালোবাসার কি কোনো প্রতিদান হয়, না দেয়া যায়?  রক্তের সম্পর্ক মানেই ভালোবাসা-এই কথাটা সবসময় সত্যি হয় না। এবারের ভ্রমণে আমি এমন কিছু মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি যারা আমার পরিবার থেকেও বেশি। তাদের স্নেহ, আদর, ভালোবাসায় আমাকে তারা বুঝতেই দেয় নি, আমি তাদের কেউ নই। অন্তরের কৃতজ্ঞতা আমার এবারের সফরের যারা নেপথ্যে সহযোগিতা করেছেন। দিয়েছেন আশীর্বাদ। তাদের সবাইকে অন্তরের ভালোবাসা।  
জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পীর পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে, ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিভাগে উচ্চাঙ্গ সংগীতে প্রথম স্থান অধিকার; ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় দেশের গানে প্রথম স্থান অর্জন; ১৯৯৯ সালে ঢাকা সিটি কলেজ অধ্যয়ন অবস্থায় পুরো কলেজের নজরুল, আধুনিক ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম অবস্থান হওয়ায় ঐ বছরের সেরা অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন হন।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সরকারী নিয়োগ অডিশনে ৫০০ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম অবস্থান অর্জন; ২০০৭ সালে যশোরে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠানে গানের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা অর্জন; ২০০৮ সালে কুমিল্লায় মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও কে.বি.এম আব্দুল খালেক মিয়া স্মৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠানে আধুনিক গানে সম্মাননা অর্জন; ২০০৬ সালে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রতিযোগিতায় আধুনিক গানে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে সমাননা অর্জন। ২০২১ সালে ‘টিআরইউবি’ আলাউদ্দীন আলীর আধুনিক গানের অবদানের জন্য ২৭তম ‘ট্রাব’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ এসোসিয়েশান অফ জর্জিয়াতে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের অংশগ্রহন করে দর্শকের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় একটি সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন। ২০২৩ সালে নিউইয়র্ক আলাউদ্দিন আলীকে শ্রদ্ধা ‘ট্রিবিউট টু আলাউদ্দিন’ শিরোনামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠাতে আমার একক সন্ধার আয়োজন করেন।
এছাড়া নিউইয়র্কের টাইম টিভিতে আমার ইন্টারভিউ এবং পাঁচটি আলাউদ্দিন আলীর বিখ্যাত গান গাওয়ার সুযোগ হয়। ২০২৪ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি দুইদিন জালালাবাদ এসোসিয়েশান অফ কেলিফোর্নিয়া প্রোগ্রামে আমার সম্মাননা অর্জন সৌভাগ্য হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ১০ ফেব্রুয়ারিতে সিটি অব পেনসেলভেনিয়ার মেয়রের হাত থেকে সম্মাননা অর্জন করি। এরপর ২০ শে ফেব্রুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেসর একটি প্রোগ্রামে বৃহত্তর লস এঞ্জেলেস’ সংগঠনের সম্মাননা অর্জন শেষে, প্রোগাম হলিউড-এর সার্স অফ ইন্সষ্টিটিউট হলিউড অংশগ্রহণ করি।
আমরা প্রতিভাময়ী এই শিল্পীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

2_1735541493.jpg
2_1735541493.jpg