এ প্রজন্মের প্রতিভাবান ও প্রতিবাদী একজন সংগীতশিল্পী শুভ ইসলাম। তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। তার লেখা ও গাওয়া গানগুলো বেশ শ্রোতাপ্রিয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াকালীন ক্যাম্পাসের মঞ্চে গান পরিবেশনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ইতোমধ্যে ‘হিসেবের গড়মিল’ শিরোনামে তার একটি নিজস্ব অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে। এছাড়া, ‘শুভ ইসলাম’ নামে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ‘চন্দ্রবিন্দ্র’, ‘বৃক্ষের ছায়া’, ‘শোকের মিছিল’, ‘তন্ময়’, ‘আছো কি কেউ’ শিরোনামে ৫টি গান রিলিজ হয়েছে। ‘সাদাকালো মুখ’ ও ‘ধাধানো জীবন’ শিরোনামে আরও দুটি গান মুক্তির অপক্ষোয় রয়েছে। সংগীতশিল্পী শুভ ইসলাম ১৯৯৫ সালে ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এক অভিজাত বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম শওকত আলী ও মা পারভীন আক্তার সংগীতানুরাগী ছিলেন। শিল্পীর সহধর্মিনী মার্জিয়া তাসনীম একজন বায়োকেমিস্ট। সংগীতশিল্পী শুভ ইসলামের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের পটিয়াতে এবং পড়ালেখা করেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ বিশ^বিদ্যালয় অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি। গানের হাতেখড়ি নামকরা ওস্তাদ শুভাশীষ চক্রবর্তীর কাছে এবং সঙ্গীতাঙ্গন সংগীত বিদ্যাপীঠে গানের চর্চা করেছেন। মা ও খালার কাছ থেকেও গান শিখেছেন শিল্পী। সংগীতশিল্পী শুভ ইসলাম বলেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইমলামের কাজ তাকে প্রভাবিত করে। জেমস, ববডিলান, পিংকফ্লয়েড, মেটালিকা ও অতিফ আসলামের গান বেশি ভালো লাগে। তার প্রিয় গান, কহড়পশরহ’ ড়হ ঐবধাবহ’ং উড়ড়ৎ. শিল্পী বলেন, অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করে রুচিশীল শিল্প পরিবেশনের প্রত্যয়ে সবার এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। লেখা, সুর করা ও মানুষের জন্য গান গেয়ে যেতে চান শিল্পী শুভ ইসলাম। শিল্পী প্রিয় মানুষ তার মা ও সহধর্মিনী এবং আদর্শ হলেন সবার প্রিয় হযরত মুহাম্মদ (স.)। সবশেষে সংগীতশিল্পী যে বিশ^াস নিয়ে সবার মাঝে মিশে যেতে চান তা হলো-‘আমি ভাঙতে ভাঙতে গড়ে উঠি’।