সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫
৩ ভাদ্র ১৪৩২

আপনি পড়ছেন : সাংস্কৃতিক অঙ্গন

‘সুরে গাঁথা কথার মালা’ মৌলিক গানের প্রশংসনীয় অনুষ্ঠান

‘সুরে গাঁথা কথার মালা’ মৌলিক গানের প্রশংসনীয় অনুষ্ঠান


2025-01-28
‘সুরে গাঁথা কথার মালা’   মৌলিক গানের প্রশংসনীয় অনুষ্ঠান

স্বরগ্রাম সংগীত সংগঠনের আয়োজনে ১৮ জানুয়ারি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় মৌলিক গানের অনুষ্ঠান ‘সুরে গাঁথা কথার মালা’। অধ্যাপক অজামিল বণিকের কথা এবং আশীষ কুমার সরকারের সুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কবি, গীতিকার অধ্যাপক অজামিল বণিককে উত্তরীয় পরিয়ে এবং ফুল দিয়ে  সম্মান জানান বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, মাসিক সরগম পত্রিকার সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। সম্মাননা পর্বে উপস্থিত ছিলেন সংগীত গুরু, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুমন চৌধুরী, বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী সংগীত গুরু অনিল সাহা এবং বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সংগঠক ডঃ বিশ্বজিত রায়। বিশেষ অতিথি কাজী রওনাক হোসেনের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে প্রথম পর্বের সমাপ্তি হয়। দলীয়, একক এবং দ্বৈত পরিবেশনায় ১৬ টি মৌলিক গান নিয়ে সাজানো দ্বিতীয় পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী সুচরিতা সুতপা, পুতুল দাস, আশীষ কুমার সরকার, সুপর্ণা বণিক, অর্পিতা বণিক এবং শ্রেয়সী দেবযানী। শিল্পীরা একে একে ‘সুরে গাঁথা কথার মালা’, ‘আজ তুমি নেই বলে মন যে আমার’, ‘আমার ভূবনে ফুলেল বসন্ত’, ‘আমার আশার কমল ফুটেছিলো’, ‘আমরা দুজনা স্বর্গরচনা’, ‘সাগর চাহেনা তবু নদী যায় ধেয়ে’,‘আমার গৌর নামে মন মেতেছে’,‘ঝরা শিউলির শোভা তুমি আমার ভূবনে’,‘যত দূরেই থাকো তুমি’,‘আমার সাধের জন্মভূমি’,‘আজ এই বরষামুখর দিনে’,‘মন যদি না চায় তবে ভুলিয়ো আমায়’,‘তুমি ভুলে গেছো ক্ষতি নেই’, ‘আজ আমায় তুমি আড়াল করে’,‘আমি এক ঝড়ের পাখি’ও ‘যেদিন আমি আর থাকবো নাকো’ গানগুলো গেছে শোনান। অনুষ্ঠানে যন্ত্রশিল্পী ছিলেন তবলায় গৌতম সরকার, প্যাডে বিদ্যুৎ রায়, গিটারে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও কিবোর্ডে রবিন চৌধুরী।  মিলনায়তনে উপস্থিত শ্রোতারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে সব গান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শেষে শ্রোতারা তাঁদের মন্তব্যে গানের কথা, সুর এবং পরিবেশনা নিয়ে তাদের ভালোলাগা প্রকাশ করেন। স্বরগ্রাম সংগীত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার সরকারের সংগীত পরিচালনায় এবং ডঃ সুস্মিতা বণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন স্বরগ্রাম সংগঠনের সভাপতি সংগীত শিল্পী সুচরিতা সুতপা।

অজামিল বণিক ১৯৩০ সালের ১৫ জুন কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বণিক এবং মাতা ক্ষীরদাসুন্দরী বণিকের কনিষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক অজামিল বণিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বাংলা সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন এবং ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। 

সংস্কৃতিমনা, শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক অজামিল বণিক ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিচর্চা এবং লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তার লেখা কবিতা সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তার দুটি বই ‘কেউ কেউ দেখে’ এবং ‘জন্মান্ধ প্রতীক্ষা’ প্রকশিত হয়েছে এবং পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে। তার লেখা অনেক কবিতা এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে। য়